উৎপাদন বৃদ্ধির কলাকৌশল |
উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয় |
১)আবাদ সম্প্রসারণ |
ক)গত বছরের তুলনায় বোরো ধানের আবাদ ৩% বৃদ্ধি করা |
২)হাইব্রিড জাতের সম্প্রসারণ |
ক) বোরো ধানের মোট আবাদী জমির ১০% এবং ভূট্টা ফসল ১০০% উন্নতি করা। |
খ)সবজি জাতীয় ফসলের মোট আবাদী জমির শতকরা ৩% হাইব্রিড জাতের সম্প্রসারন ।ূ |
|
৩)উফশী জাতের সম্প্রসারণ |
ক) এলাকার উপযোগী বোরো ধানের উফশী জাতের মধ্যে ব্রিধান-২৮,ব্রিধান-২৯,ব্রিধান-৫০,গম ফসলের মধ্যে প্রদীপ,বিজয়ী ,শতাব্দী,আলু আবাদের মধ্যে কার্ডিনাল,ডায়মন্ট,সরিষার স্থানীয় জাতের পরিবর্তে বারি সরিষা-৯,বারি সরিষা-১১, বারি সরিষা-১৩, বারি সরিষা-১৪, বারি সরিষা-১৫, বিনা সরিষা-৪, ডাল ফসলের মধ্যে- বারি মসুর-৪,৫,৬ এবং বারি ছোলা-৫ এবং পেঁয়াজের মধ্যে তাহেরপুরী ও রসুনের বাউ রসুন-১ এবং সবজি ফসল উৎপাদন বৃদ্ধীতে উফশী জাতের ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা। |
৪)জাত নির্বাচন ও ভাল বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করা |
ক) এলাকা ভিত্তিক উপযুক্ত জাত নির্বাচনে প্রয়োজনীয় পদÿÿপ গ্রহন |
খ)ভাল বীজ ব্যাবহারে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করা এবং বীজ প্রাপ্তিতে ডিএই, বিএডিসি হতে বীজ গংগ্রহে যোগাযোগ স্থাপন করা। প্রয়োজনে বিশ্বস্থ কোন প্রতিষ্ঠান হতে সংগ্রহ করা। |
|
গ)বীজের অংকুরোদগম ÿমতা পরীÿা করা এবং বীজ শোধন। |
|
৫)মাটির সাস্থ্য সুরÿা |
ক)উৎপাদন বৃদ্ধির লÿÿ্য শস্য পর্যায় অবলম্বন করা। |
খ)কৃষক উদ্বুদ্ধকরনের মাধ্যমে ৫০% জমিতে জৈব সার ব্যাবহারে কর্মসূচি গ্রহন ও বাস্থবায়ন। |
|
গ)আমন ধান কর্তনের পর জমি ফেলে না রেখে ৫০%জমি উত্তম মধ্যমে চাষ দিয়ে রোদে শুকনোর কর্মসূচি গ্রহন ও বাসত্মবায়ন। |
|
৬)সুস্থ সবল চারা উতপাদনে বোরো ধানের আদর্শ বীজতলা তেরী |
ক)সময়মত বীজতলা লৈ তৈরি। |
খ)প্রচলিত বীজতলার পরিবর্তে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরনের মাধ্যেমে ২৫%আদর্শ বীজতলা তৈরিতে প্রয়োজনীয় পদÿÿপ গ্রহন। |
|
৭) বীজতলার পরিচর্যা |
ক)নিয়মিত বীজতলা পর্যবেÿন করা। খ)আগাছা পরিস্কার ও বালাই নিয়নত্ম্রনে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহন। |
গ)শৈত্যপ্রবাহে বোরো ধানের চারা রÿার্থে রাতে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা ,শিশির ভেঙ্গে দেয়া এবং ছিপছিপে পানি আটকিয়ে রাখার ব্যাবস্থা গ্রহন। |
|
ঘ) )শৈত্যপ্রবাহে চলাকালীন সময়ে বীজতলা হতে চারা উত্তলন করা হতে বিরত রাখা। |
|
|
|
৮)অধিক উৎপাদনে জমি তেরী, সুষম সারের ব্যবহার ও সার প্রয়োগ পদ্ধতি |
ক)আগাছা পরিষ্কার ও উচু নিচু স্থান সমতল করে বা খন্ড করে ফসল ভিত্তিক জমি তৈরি । |
খ)সুষম মাত্রা্য় সার ব্যাবহারে কৃষকদের উৎসহ প্রদান করে ১০০% উন্নতি করা। |
|
গ)পরিমিত মাএায় ও সঠিক সময়ে ১০০%জমিতে সার ব্যাবহার নিশ্চিত করা। |
|
৯)সময়মত বী জবা চারা বোপন/রোপন ওপরিচর্যা |
ক)সময়মত বীজ/ চারা রোপন |
খ)সর্তকতা সহিত চারা উত্তোলন ,যাতে চারা আঘাত প্রাপ্ত হয় না। |
|
গ)বস্নক প্রতি ৫০% জমিতে সঠিক দূরত্ব বজায় রেখে চারা লাইনে রোপনের লÿ্যমাএা নির্ধারন ও বাসত্মবায়ন। |
|
ঘ)আগাছা পরিষ্কার,উপরি সার প্রয়োগ। |
|
|
|
১০)ইউরিয়া সাশ্রয়ে গুটি ইউরিয়া ও এলসিসি প্রযুক্তি ব্যবহার |
ক)ইউরিয়া সাশ্রয়ের লÿÿ্য বোরো ধানের জমিতে গুটি ইউরিয়া সার ৫০%ও এলসিসি প্রযyুক্ত ৮০% ব্যাবহারে কর্মসূচি গ্রহন ও বাসত্মবায়ন। |
১১)সেচ ব্যবস্থাপনা |
ক)সেচ যনত্ম্র মেরামত/সংস্কার ও বৈদুতিক সংযোগ স্থাপনের প্রয়োজনীয় পদÿÿপ গ্রহন। |
খ)সেচের পনি অপচয় রোধ কল্পে বোরো ধানের জমিতে AWD প্রযুক্তি ব্যাবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা যাতে মোট আবাদির ৫০% অর্জন করা সম্ভব । |
|
গ)পানি আপচয় রোধে সেচ নালা তৈরি ও মেরামত ও ফিতা পাইপের ব্যাবহার । |
|
১২)বালাই ব্যবস্থাপনা |
ক)সার্ভিল্যান্স ব্যাবস্থা ও মনিটরিং জোরদার করা।বিশেষ করে মাজরা ,বিপিএইচ,শীর্ষ কাটা লেদা পোকা,পামরী ও খোল পোড়া, বস্নাষ্ট,বিএলবি সহ মারাতবক বালাই ব্যাবস্থাপনায় সংশিস্নষ্টদের দায়বদ্ধতা সুনিশ্চিত করা। |
খ)বালাই প্রতিরোধী জাতের চাষ সম্প্রসারন। |
|
গ)হাত জাল,আলোক ফাঁদ ব্যাবহার করে ÿতিকর পোকার উপস্থিত সণাক্তকরন ও দমন এবং ÿÿতে ১০০% পাচিং নিশ্চিত করা। |
|
ঘ)আমের শোষক পোকা ,ফল ছিদ্রকারী পোকা ,মাছি পvাকা ,এ্যানথ্রাকনোজ,পাউডারী মিলডিউ ও অন্যান্য বালাই নিয়এণ্রনে কার্যকারী পদÿÿপ গ্রহন এছাড়া ঘন কুয়াশায় আমের মুকুল রÿার্থে প্রতিরোধক হিসবে বর্দোমিক্সার/অনুমোদিত ছএাকনাশক প্রয়োগের ব্যবস্থা গ্রহন। |
|
ঙ)ঘন কুয়াশার কারনে আলু ও টমেটা ফসলে লেটবস্নাইট রোগে আক্র্মত্ম হওয়ার আশংকা রয়েছে। এরূপ আলু ও টমেটা ফসলের প্রতিরোধক হিসাবে যথাযত পদÿÿপ গ্রহন । |
|
চ)সরিষা,মসুর ,সিম ,কপিসহ অন্যান্য ফসলের পোকা-মাকড়ও রোগ বালাই দমন ব্যাবস্থা গ্রহন। |
|
ছ)মাঠে দন্ডায়মান রবি’’র অন্যান্য ফসলের বালাই নিয়ন্ত্রনে যথাযথ পদÿÿপ গ্রহন। |
|
১৩)বীজ সংরÿণ |
ক)বীজ ÿÿত পরিচর্যা ও রোগিং সহ অন্যান্য ব্যাবস্থা সম্পন্ন করা। |
খ)সময়মত শস্য কর্ত ন ,মাড়াই,ঝাড়াই ,শুকনো ও সংরÿন পদ্ধতিতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা। |
|
১৪)বিশেষ কর্মসূচী |
ক)মাটির স্বাস্থ সু-রÿায় কৃষক উদ্বুদ্ধকরনের মাধ্যমে বস্নক প্রতি কম্পোস্ট-৫০০ টি কেঁচো সার -২০টি লÿ্যমাএা নির্ধারন পূর্বক তা বাস্থবায়ন । |
খ)বোরো ধানের বালাই নিয়ন্ত্রনের অমন ধানের নাড়া পোড়ানোর কর্মসূচি গ্রহন ও বাস্থবায়ন। |
|
গ)বস্নক প্রতি ৫০% পরিবাররে বসতবাড়ির আঙ্গীনায় সবজি চাষের লÿমাএা,নির্ধারন ও বাসবথবায়নূ |
|
ঘ) বাজার নিয়ন্ত্রন ও চাহিদা অনুযায়ী ফুলকপি ,টমেটো,বাধাকপি,বেগুনসহ অন্যান্য ফসলের জাতভিত্তিক আগাম,মধ্যম ও নাবী জাতের আবাদের লÿমাএা নির্ধারন ও বাস্থবায়ন। |
|
ঙ)অর্থকারী ফসল হিসাবে ফুলচাষ সম্প্রসারণ। |
|
চ)উপজেলা প্রতিত ১টি করে সবজি গ্রাম স্থাপনের কর্মসূচি গ্রহন ও বাস্থবায়ন। |
|
১৫)বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় গৃহীত কর্মসূচী বাসত্মবায়ণ |
ক)কর্মসূচির আত্ততায় গৃহিত প্রযyুক্ত কৃষকদের নিকট গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধির লÿÿ্য সঠিক স্থান ও কৃষক নির্বাচন ,সময়মত প্রশিÿন, বরাদ্ধকৃত উপকরন সরবরাহ এবং তা বাস্থবায়নের নির্দেশমতে যথাযথ পদÿÿপ গ্রহন এবং ফলাফল সংরÿন করা। |
১৬)বিবিধ কৌশল |
ক)চাহদিা মোতাবেকে রাসায়নিক সার প্রাপ্তিতে সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির মাধ্যমে ব্যাবস্থা গ্রহন এবং ভেজাল সার বাজারজাতকরনের বিরম্নদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যাবস্থা গ্রহন। |
খ)লÿমাএা অর্জনে সংশিস্নষ্ঠদের সাথে গন সংযোগ নিবিড় করা যাতে ফসল উৎপাদন কোরম্নপ প্রতিবন্ধীকতা সৃষ্ঠি না হয়। |
|
১৭)ন্যায্যমূল্য |
ক)উৎপাদিত কৃষি পন্যর ন্যয্যমূল্য প্রাপ্তিতে সংশিস্নষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযোগ স্থাপন করা। |
১৮)মনিটরিং |
ক)রবির গৃহিত কর্মসূচি সফল বাস্থবায়নের জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং জোরদার করার সুবিধার্থে এলাকা বন্ঠন পূর্বক ক কর্মকর্তার দায়িত্ব অর্পন ও দায়িত্ব পালনের সংশিস্নষ্ঠ কর্মকর্তাদের তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সর্ম্পকে নিশ্চিত করা |
খ)উপজেলা পর্যায়ে রবি র কর্মসূচি বাস্থবায়নে যে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ঠি হলে সংশিস্নষ্ঠ বিভাগ/সংস্থার সাথে সমন্বয় করে দ্রম্নত সমাধান করা। |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস